Select Menu
  • Home
  • Blog Design
  • Widgets
    • HTML Editor
    • HTML Parser
    • Counter Tool
    • Css Minifier
    • Live Viewer
    • Color Code
  • SEO
  • Online Earning
  • Technology
  • About Us
  • Contact Us
  • Download
  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy
  • Sitemap
  • Download

ভূগোল ডট ইন :: Bhugol.in

  • Home
  • Blog Design
  • Widgets
  • SEO
  • Android
    • Adroid Tips
    • Android Apps
    • Android News
  • Earning
  • Error404

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

ভূগোল প্রেমী

২২ শে এপ্রিল উল্কা বৃষ্টি হতে চলেছে?

 বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭     No comments   
সম্ভবত ২১ ও ২২ শে এপ্রিলের মধ্যে আমরা একটি উল্কা বৃষ্টির সাক্ষী হতে চলেছি। কিন্তু এটিকে আমরা দেখতে পাব কিনা সন্দেহ আছে এই বিষয়ে। এর কারণ গুলি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

উল্কা পাতের একটি দৃশ্য

অনেকে অবগত রয়েছেন যে, মাঝে মধ্যে হঠাৎ দেখা গেল রাতের আকাশে একটা ছোট আলোর বিন্দু টুপ করে নিচের দিকে পড়ে গেল। মনে হলো, যেন আকাশভরা মিটমিটে তারাগুলো থেকে একটা বুঝি টুপ করে পড়ে গেল। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে, এই ‘খসে পড়া তারা’গুলি আদতে তারাই নয়। এদের নাম উল্কা।

এখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে- এই উল্কা জিনিসটা আসলে কী? উল্কাবৃষ্টিই বা কেন হয়? আর কেনই বা উল্কাদের খসে পড়া তারাদের মতো দেখায়?

প্রথমে আসা যাক উল্কা কী, সে প্রসঙ্গে 

যে সব বস্তু মহাকাশে ঘুরে বেড়ায়, তাদেরকে বলে মহাজাগতিক বস্তু। এ রকম কোনো মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর খুব কাছে এসে পড়লে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের প্রভাবে বস্তুটি ভূ-পৃষ্ঠের দিকে তীব্র বেগে এগোতে থাকে। তখন এর সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের কণাগুলোর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ-ঘর্ষণের ফলে বস্তুটি জ্বলে ওঠে। তখন যে ক্ষণস্থায়ী সরু আলোর রেখা দেখা যায়, সেটাই উল্কা। 

বেশিরভাগ সময় উল্কার আকার এতো ছোট হয় যে, এটি ভূ-পৃষ্ঠে আসতে আসতেই জ্বলে ছাই হয়ে যায়। তবে যদি বস্তুটি মোটামুটি বড় আকারের হয়, তখন সেটি পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায় না। বস্তুটির অবশিষ্টাংশ ভূ-পৃষ্ঠে ভীষণ জোরে আছড়ে পড়ে। এই অবশিষ্টাংশকে বলে উল্কাপিণ্ড।
একটি বৃহৎ উল্কা পিন্ড পৃথিবীতে এসে আঘাত করলে কি হতে পারে দেখুন !

কিন্তু ঠিক কোন্ মহাজাগতিক বস্তু আসে এভাবে? পৃথিবীর চারপাশে শুক্র বা মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত তেমন কিছুই নেই। অথচ শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ যন্ত্রে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৫টি উল্কাপাত দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই মহাজাগতিক বস্তুগুলো আসে কোত্থেকে?

সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট সদস্য গ্রহাণু। এই গ্রহাণুগুলো পৃথিবী থেকে বেশ দূরে অবস্থান করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। এগুলো ছাড়াও মহাশূন্যে অসংখ্য ছোট ছোট বালুকণা আর পাথরের টুকরোর মতো পদার্থ ইতস্তত ছড়িয়ে আছে। সিংহভাগ উল্কাই এসব কণার মাধ্যমে সৃষ্ঠ। এই কণাগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। খুব ছোট হওয়ায় এদের কেউ-ই পৃথিবীপৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। প্রতি ১০০ বছরে হয়ত কয়েকটি ছোটখাট টুকরো পৃথিবী পর্যন্ত এসে পৌঁছায়। আর বিশাল খাদ কিংবা ডাইনোসরদের বিলুপ্ত করে দেয়ার মতো ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টিকারী বিশাল উল্কা আসার সম্ভাবনা হিসাব করলে প্রতি ৩ লক্ষ বছরে একবার! এগুলো হলো গ্রহাণু বেল্টের কোনো বিক্ষিপ্ত সদস্যের কাজ, যারা ঘুরতে ঘুরতে মঙ্গল ও পরে পৃথিবীর আকর্ষণে পথ বদলাতে গিয়ে শেষমেশ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল এড়াতে না পেরে এখানে আছড়ে পড়ে।

সাধারণত ভোরের দিকে সন্ধ্যার চেয়ে বেশি উল্কা দেখা যায়। কারণ, সে সময় উল্কাদের অবস্থান থাকে পৃথিবীর গতির দিকে। আর খালি চোখে আমরা যে সব উল্কা দেখি সেগুলো প্রায় ৮০-১০০ কিলোমিটার উপরে থাকে। আর এদের বেগ থাকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩০ কিলোমিটার।


এ তো গেল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়া উল্কাদের কথা। এখন আসা যাক উল্কাবৃষ্টির বিষয়ে। প্রতি বছরই কিছু নির্দিষ্ট দিনে আকাশে উল্কার পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। ঘণ্টায় ৩০-৪০টা উল্কাও দেখা যায়। একেই বলে উল্কাবৃষ্টি।

এই অসংখ্য উল্কা আকাশের একেকটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই আসে। এই জায়গাগুলিকে বলে বিকিরণ বিন্দু । এ থেকে মনে হতেই পারে, এগুলো নিশ্চয়ই একই জায়গা থেকে আসছে; আসলেও তাই। এর জন্য প্রায়ই দায়ী থাকে ধূমকেতু। ধূমকেতুর শেষে যে লেজ থাকে, সেটা মূলত বরফকণাপূর্ণ গ্যাসীয় পদার্থে তৈরি। ধূমকেতু যখন সূর্যের খুব কাছে চলে যায়, তখন এই লেজের কিছু অংশ খসে যায়। এই অবশিষ্টাংশ এদের কক্ষপথের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকে। চলার পথে পৃথিবীর কাছে চলে এলে কাছাকাছি অঞ্চলের টুকরোগুলো উল্কা হয়ে পৃথিবীর দিকে ঝাঁক বেঁধে ছুটে আসে। এভাবেই উল্কাবৃষ্টির সৃষ্টি হয়।

প্রায় ১৫,০০০ টন পরিমাণ উল্কা, ক্ষুদ্র উল্কাকণা এবং মহাজাগতিক ধূলিকনা প্রতি বছর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে।

ঠিক এরকমি একটি উল্কা বৃষ্টি হতে চলেছে ২১ বা ২২ এপ্রিল রাতে। তবে, এই উল্কা বৃষ্টি দেখার জন্য নির্ভর করতে হবে দেশ ও স্থানের ওপর !!

কিন্তু ভয়ের কোনো কারন নেই. কারন উল্কা গুলি পৃথিবীতে আসার আগেই ছাই হয়ে যাবে !! এই প্রসঙ্গে একটা তথ্য দিয়ে লেখা শেষ করলাম, ১৮৩৩ সালে যেই উল্কা বৃষ্টিটি হয়েছিল, সেটি আজও জগৎ বিখ্যাত হয়ে রয়েছে !!

আরো দেখুন

আপনাদের মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
Read More
ভূগোল প্রেমী

ব্ল্যাক হোল

 বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭     No comments   

ব্ল্যাক হোল
ব্ল্যাক হোল

মহা বিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্য, সবচেয়ে বড় মহাজাগতিক বিস্ময়, ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর।.
ব্ল্যাক হোল হলো আমাদের সূর্যের মত এক ধরনের নক্ষত্র। কোন নক্ষত্রের যদি অনেক ভর ও ঘনত্ত্ব থাকে, তাহলে তার মহাকর্ষীয় শক্তি এতই শক্তিশলী হবে যে আলো পর্যন্ত সেখান থেকে নির্গত হতে পারবে না।
দৃশ্যমান মহাবিশ্বে (The observable universe) রয়েছে কমপক্ষে ১০০ বিলিওন ছায়াপথ। প্রতিটা ছায়াপথে রয়েছে ১০০ বিলিওন থেকে ১০০ ট্রিলিওন তারা বা নক্ষত্র। সৃষ্টির শুরু থেকেই এই তারাগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ভয়ানক বিস্ফোরণ। নিউক্লিয়ার ফিউশন বা সংযুক্তি বিক্রিয়ার কারণে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকে। একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু একত্রিত হয়ে হিলিয়াম তৈরি করে আর প্রচণ্ড বিস্ফোরণের সাথে শক্তি হিসাবে নির্গত করে আলো, তাপ, তেজস্ক্রিয়তা ইত্যাদি। কিন্তু তারকাদের এই জ্বালানি (হাইড্রোজেন) এক সময় শেষ হয়ে যায়। বিস্ফোরণ, আলো, তাপ কিছুই দেওয়ার ক্ষমতা থাকে না। তখন সূর্যের চেয়ে ১০-১২ গুণ বা আরও বেশি ভরবিশিষ্ট নক্ষত্রগুলো প্রচণ্ড বিস্ফোরণের সাথে নিভে যায়। এই নিভে যাওয়া নক্ষত্রগুলোকেই ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর বলা হয়।
*** ব্ল্যাক হোলসূর্য কখনো ব্ল্যাক হোল হবে?
---------------------------------------
আশাকরি সবার মূক্তিবেগ সম্পর্কে ধারনা আছে । পৃথিবীর মূক্তিবেগ ১১.২km/সে । বৃহস্পতির-৫৯.৬km/সে এবং সূর্যের-৬১৭.৫km/সে। কোনো বস্তুর মূক্তিবেগ নির্ভর করে দুটি জিনিসের ওপর, বস্তুর ভর ও ব্যাসার্ধ । এমন অনেক নক্ষএ আছে যাদের ভর সূর্যের চেয়ে বেশি এবং এদের মূক্তিবেগ আলোর চেয়ে বেশি ।অর্থাৎ ওই নক্ষএর পৃষ্ঠ থেকে আলো বেরিয়ে আস্তে পারেনা । তবে এই ঘটনা ঘটে হাইড্রোজেন জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে । তাহলে যদি ভর কম হয় তাহলে গ্রহ বা নক্ষএ ব্ল্যাক হোল সুযোগ পাবেনা, তারাই সুযোগ পাবে, যাদের ভর সূর্যের তুলোনায় ১৫-২০ গুন বেশি । অর্থাত আমাদের সূর্য কখোনো ব্ল্যাক হোল হবার সুযোগ পাবেনা ।
প্রায় প্রত্যেকটা ছায়াপথের কেন্দ্রে অত্যন্ত বিশাল আকৃতির শক্তিশালী একটা করে কৃষ্ণগহ্বর থাকে, যেগুলো সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির (Big Bang) সাথে সাথেই। কেন্দ্রের এই Super Massive Black Hole গুলো পরবর্তীতে নতুন ছায়াপথ তৈরিতে সাহায্য করে। ক্ষেত্র বিশেষে এরা এত বড় হয় যে এ যাবত আবিষ্কৃত সকল ব্ল্যাক হোলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভরের কৃষ্ণগহ্বর হচ্ছে আমাদের সূর্যের চেয়ে ৪০ বিলিওন বা ৪০০ কোটি গুণ ভারী (২০১৬ এর মার্চ পর্যন্ত)। আমাদের নিজস্ব ছায়াপথ আকাশগঙ্গার কেন্দ্রেও রয়েছে একটি অতিকায় কৃষ্ণগহ্বর যা আমাদের সৌরজগৎ থেকে প্রায় ২৬ হাজার আলোক বর্ষ (light years) দূরে Sagittarius A* নামক অবস্থানে, যার আকৃতি সূর্যের চেয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ গুণ ভারী।
*** Black Hole এর জন্মঃ--
--------------------------------
নক্ষত্র যখন তার জ্বালানি পুড়িয়ে শেষ করে ফেলে তখন নক্ষত্র গুলো সংকুচিত হতে থাকে। সাধারনত গ্যালাক্সি গুলোর মাঝে অবস্থানরত বড় বড় নক্ষত্র তাদের বিবর্তনের সর্বশেষ পরিণতিতে সুপারনোভা বিস্ফোরনের মাধ্যমে ব্ল্যাক হোল সৃষ্টি করে। নক্ষত্র গুলো অনেক বেশি সংকুচিত হয়েই ব্ল্যাক হোলের জন্ম দেয়। কিন্তু সেই সংকুচিত হওয়ার মাত্রা কতটুকু? তা শুনে অবাক হবেন। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের ব্যাসর্ধ প্রায় ৬.৯৬০০০০০কিলোমিটার। এই বিশালাকার আয়তনকে যদি কোনোভাবে মাত্র ১০ কিলোমিটারে(!) নামিয়ে আনা যায়, তাহলে সেটি একটি ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে। আর আমাদের পৃথিবীকেই যদি চেপেচুপে মাত্র দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার(!) বানানো যায়, তাহলে পৃথিবীও একটি ক্ষুদে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে পারে। ব্ল্যাক হোল হওয়া তাহলে সোজা ব্যপার না তাই না? ভয়াবহ মধ্যাকর্ষণ বলের চাপে তারকাটা ছোট হতে হতে তার নিজের আয়তনের ট্রিলিওন ট্রিলিওন ভাগের এক ভাগের সমান আকৃতি ধারণ করে (নোটঃ ভর ঠিক রেখে পৃথিবীকে ছোট করতে করতে যদি একটা চীনা বাদামের সমান করা যায় তাহলে ওই চীনা বাদামটা হবে পৃথিবীর ব্ল্যাক হোল।) যার ফলে এর ভিতরের ঘনত্ব আর মাধ্যাকর্ষণ বল অসীম আকার ধারণ করে আর সৃষ্টি হয় এক নতুন কৃষ্ণগহ্বর। বিজ্ঞানীরা এই অবস্থাকে বলে Singularity যেখানে স্থান এবং কাল হয়ে পড়ে অর্থহীন অর্থাৎ space-time currature ছিল Infinite। এই Singularity এর মধ্যমে পরবর্তিকালে big bang(বিন্দু থেকে মহাবিশ্বের প্রসারন) ধারনা কল্পনা করা হয়(A brief history of times by স্টিফেন হকিং) । এর পর থেকেই space-time ধারনা শুরু বিজ্ঞ্যানিদের মতানুসারে ।
*** নামকরনঃ-
-----------------
ব্লাকহোল শব্দের অর্থ কালো গহবর। একে এই নামকরণ করার পেছনে কারণ হল এটি এর নিজের দিকে আসা সকল আলোক রশ্মিকে শুষে নেয়। কৃষ্ণগহ্বর থেকে কোন আলোক বিন্দুই ফিরে আসতে পারে না ঠিক থার্মোডায়নামিক্সের কৃষ্ণ বস্তুর মতো।
*** সারা বিশ্বে কি অনেক ব্লাকহোল আছে???? হ্যাঁ ! এতই যে গননা করা মুশকিল।
*** কয়টি ব্ল্যাকহোলের প্রমান মিলেছে?
---------------------------------------------
মূলত ৫টি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব খুঁজে পায় নাসার নিউক্লিয়ার স্পেকট্রোস্কোপিক টেলিস্কোপ অ্যারি (নুস্টার)।
*** একটি ব্ল্যাক হোল পৃথিবী ধ্বংস করতে পারে?
-----------------------------------------------------
ব্ল্যাক হোল কখনোই চাঁদ এবং গ্রহ খাওয়ার জন্য তাদের কাছাকাছি যেতেপারে না। পৃথিবী কখনোই ব্ল্যাক হোলে পতিত হবে না কারন সৌরি সিস্টেমের জন্য কোনো ব্ল্যাক হোলই পৃথিবীর যথেষ্ট কাছে না ।
****** Note= পৃথিবীর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই কৃষ্ণ গহ্বর সম্পর্কে এ পর্যন্ত জানতে পেরেছেন সামান্যই। তবে যতটা তথ্য উদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন তা যথার্থই অভাবনীয়, সাধারণ চিন্তার বাইরে। ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানিরা অনেক কিছু জানতে পারে নি। তাই এটি এখনো রহস্য। আর আমদের কাছেও কল্পনার বাইরে !!!
***বিস্তারিত জানতে দেখূন-
http://blackholes.stardate.org/resources/faqs/faq.php…
Read More
ভূগোল প্রেমী

Earth Day বা বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

 বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭     1 comment   
আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। প্রতি বছর ২২শে এপ্রিল আমরা ধরিত্রী দিবস হিসাবে পালন করে থাকি। কিন্তু কি এই ধরিত্রী দিবস?

Earth Day বা বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

আমরা সকলেই আবগত হয়েছি যে বর্তমান পরিবেশ বিশ্ব উষ্ণায়য়ের কবলে পরেছে। দিন দিন উষ্ণতা বৃধি পেয়ে চলেছে। ১৮০০ সালে CO2 বৃদ্ধির পরিমান ছিল ২৭০ পি. পি. এম. সেটি ২০১৬ সালে ৪০৪ পি. পি. এম. এ পরিবর্তিত হয়েছে। এবং এর বেশির ভাগ উৎপাদন করে চিন (২৮%), যুক্টরাষ্ট্র (১৬%)। এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যার ভূমিকা রয়েছে সেই গ্যাসটি হল কার্বন ডাই অক্সাইড (৪৯%)। তাই এই গ্যাস উৎপাদন হ্রাস করার জন্য প্যারিস সম্মেলনের মত প্রচুর সম্মেলন হয়েছে। যার ফলাফল এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কোনকিছু পাওয়া যায়নি। 


কিন্তু আমরা আমাদের পরিবেশকে বাঁচানোর চেষ্টা থেকে থেমে থাকি নি, বিভিন্ন ভাবে আমাদের পরিবেশ তথা ধরিত্রীকে বাঁচানোর একটি চেষ্টা করে যাচ্ছি। যার মধ্যে অন্যতম হল এই “ধরিত্রী দিবস”।

ধরিত্রী দিবসের ইতিহাস

১৯৭০ সালের ২২শে এপ্রিলে “গেলরড নেলসন” নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনেটরের শুরু করা এক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এ দিবস পালিত হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারাতে 1969 সালের তেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার ঘটনার পর  ইনি একটি পরিবেশগত আন্দলনের ডাক দেন। ১৯৭০ সালে এই পরিবেশ আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এনভায়রনমেন্টাল টিচ-ইন’। ওই বছর আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো সিটিতে প্রথম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ তাদের বার্ষিক পঞ্জিকায় দিবসটিকে স্থান দেয় এবং সদস্য দেশগুলোকে তা পালনের আহ্বান জানায়। ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিকভাবে ১৪১টি জাতির মাধ্যমে আয়োজন করা হয়েছিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস।

ধরিত্রী দিবসের থিম-
১. ২০১৭ সালের থিম হল - Environmental & Climate Literacy
২. ২০১৬ সালের থিম ছিল- “Trees for the managing the Earth Resources”
৩. ২০১৫ সালে থিম ছিল-  “Green Earth, Clean Earth with Wonderful World of Water”
৪. ২০১৪ সালের থিম ছিল- “Cities of Greenery”.

কেন আমরা এই দিনটি পালন করব?

এই দিন্টি পালন কেন করব সেটা বোঝানোর জন্য কয়েকটি বিষয়ে আগে আলোচনা করা যাক, যেগুলি আমাদের তথা আমাদের সুন্দর পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

১. ১৮৮১ সালের পর তাপমাত্রা গড়ে ১.৫ ডিগ্রী বৃদ্ধি পেয়েছে।
২. ১৯৮১ সালে পর আন্টার্ক্টিকার হিমবাহ প্রতি দশকে ১৩.৪% হারে হ্রাস হয়েছে।
৩. গত ১০০ বছরে সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়েছে গড়ে ১৫ সেমি।
৪. গত ৫০ বছরে বিশ্বের ২৭% প্রবাল প্রাচীর ধংস হয়েছে।
৫. ২১০০ সালে সমুদ্রতল ১-৪ ফুট বৃদ্ধি পাবে (IPCC)।
৬. ২১০০ সালে পানীয় জলের ঘাটতি হবে প্রধান সমস্যা।

আরো আছে সেগুলি না হয় পরে আলোচনা করা হবে। তাহলে ওপরের সমস্যা গুলি দেখে আমরা একটা জিনিস ভাবতে পারি, যে কোনো মূল্যে আমাদের এই ধরিত্রীকে বাঁচাতে হবেই। তার একটি জনসচেতনতামুলক প্রচেষ্টা হল “ধরিত্রী দিবস”।

ধরিত্রীকে বাঁচানোর জন্য আমরা কোন কোন বিষয়ের ওপর নজর দেব?

১. প্রথমত ব্যাক্তিগত উদ্দেগ্যে সকল মানুষকে সচেতন করা।
২. বৃক্ষ রোপন করে কার্বন সিঙ্ক পরিবেশ বানানো।
৩. কাছাকাছি পথ অতিক্রম করতে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করুন।
৪. দূরবর্তী স্থানে যাবার জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে পাবলিক যান বাহন ব্যবহার করুন।
৫. জীববৈচিত্র সংরক্ষনের দিকে নজর দিতে হবে।
৬. জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ি ব্যবহার  করুন।
৭. পুনর্ব্যবহারযোগ্য দ্রব্য ব্যবহার করুন।

একনজরে ধরিত্রী দিবস

১. প্রথম পালন করা হয় ১৯৭০ সালে।
২. ১৯৯০ সালে বিশ্বের কাছে পরিচিতি পায়।
৩. প্রথম ধরিত্রী দিবসে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ অংশগ্রহন করেছিল।
৪. “গেলরড নেলসন” নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন ব্যক্তি এটি প্রথম শুরু করেন।
৫. ২০০৯ সালে UN এর পুনঃনামকরন করেন "INTERNATIONAL MOTHER EARTH DAY".

ধন্যবাদ, সময়ের অভাবে আজ এই টুকুই লিখলাম, সামর্থ অনুযায়ী। কমেন্ট করে আমাদের ফিডব্যক জানান। এবং আমাদের ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।
Read More
ভূগোল প্রেমী

GSAT-17 যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ভারত

 বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭     No comments   
GSAT-17
GSAT-17
ISRO-এখনো পর্যন্ত ২৩ টি দেশের প্রায় ১৮০ টি উপগ্রহ মহাকাশে সাফল্যের সাথে পাঠিয়েছে। যা থেকে ISRO এর প্রায় ৬৭৩ মিলিয়ন ডলার লাভ হয়েছে। ঠিক এরকম, যোগাযোগকে আরো উন্নত করার জন্য ISRO GSAT সিরিজের উপগ্রহ প্রেরণ করতে শুরু করে ২০০১ সালে। এরই একটি ভাগ বৃহস্পতিবার ২৯ শে জুন রাত্রি ২টা ২৯ মিনিটে মহাকাশে পাঠানো হয়।

➽ GSAT কি- এটি মুলত জিয়োস্টেশনারি উপগ্রহ।এটি নিরক্ষীয়তল বরাবর পূর্বব-পশ্চিমে পৃথিবীকে আবর্তন করতে থাকে। এগুলির কাজ হল যোগাযোগ ব্যাবস্থা স্থাপন করা।

➽ GSAT-17 উৎক্ষেপনের স্থান- এটি ফ্রান্সের অধীনে থাকা আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত ফ্রেঞ্চ গায়ানার কৌরু থেকে উৎক্ষেপন করানো হয়।

➽ কোন রকেট ব্যাবহার হয়েছে?
এটি ফ্রান্সের তথা CNES-এর হেভীওয়েট বহন কারী রকেট “আরিয়ান-৫ ভি.এ-২৩৮ এর পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে।

➽ এর ওজন কত?
ইসরোর মতানুসারে GSAT-17 এর ওজন প্রায় ৩৪৭৭ কেজি। উল্লেখ্য, এই ওজনের উপগ্রহ পাঠানোর উপযুক্ত রকেট ভারতের কাছে সম্প্রতি কয়েক মাস আগে এসেছে। যার নাম GSLV MK-3। কিন্তু GSAT-17 প্রজেক্ট টি ২ বছর আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যার জন্য ফ্রান্সের সাথে ইসরো চুক্তিবদ্ধ হয় এই হেভীওয়েট উপগ্রহ পাঠানোর জন্য।

➽ এর কার্যকারিতা কী?
এটি মুলত উন্নত মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য পরিকল্পিত। এটি GSAT সিরিজের একটি আধুনিক রূপ, যার নাম দেওয়া হয়েছে GSAT-17 (এর আগে ২০১৬ সালে GSAT-18 ফ্রান্সের সহায়তায় উৎক্ষেপন করা হয়েছিল)।

    এর কার্যকারিতা হল- আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সম্পদ অনুসন্ধান, দুর্গম অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, উদ্ধার কার্যে সাহায্য করা ইত্যাদি। এটি INSAT সিরিজের প্রতিপূরক হিসাবে কাজ করবে।

➽ বিভিন্ন ব্যান্ড- 
বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগের জন্য এতে C-BAND, EXTENDED C-BAND, S-BAND ট্রান্সপন্ডার যুক্ত করা রয়েছে। যেমন-
➦24x C-BAND
➦2 x Lower C-BAND
➦12 x C- UP/ S-Down
➦2 x SUP/C-Down
➦1 x DRT & SAR.
“আরিয়ান-৫ ভি.এ-২৩৮ এর পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে।
GSAT-17

একনজরে GSAT-17

                      ➫নাম- GSAT-17
                      ➫ওজন- ৩৪৭৭ কেজি
                      ➫উৎক্ষেপনের দিন- ২৯শে জুন ২০১৭
                      ➫উৎক্ষেপনের স্থান- ফ্রেঞ্চ গায়ানার “কৌরু”
                      ➫রকেট- আরিয়ান-৫ ভি.এ-২৩৮
                      ➫কার্যকাল- ১৫ বছর
                      ➫প্রকার- যোগাযোগ উপগ্রহ
                      ➫উৎপাদক- ISRO
                      ➫Operator- INSAT ( Indian National satellite system)
                      ➫কক্ষপথ- GTO ( Geosynchronous Trasfer Orbit)
                      ➫শক্তি- ৬০০০W

মনে করিয়ে দেওয়া ভালো যে, এই মাসেই অর্থাৎ জুন মাসেই ভারত তিনটি উপগ্রহ মহাকাশে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এর আগে ভারতের হেভীওয়েট বহনকারী রকেট GSLV MK-III (FAT BOY) এবং PSLV C-38 এর মাধ্যমে CARTOSAT-2E স্পাই উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে ইসরো।


প্রসঙ্গ উল্লেখ্য যে, ভারত GSAT সিরিজের উপগ্রহ উৎক্ষেপনের কাজ শুরু করে ২০০১ সালে, যেটা উৎক্ষেপনে ব্যর্থ হয়। GSAT-18 উৎক্ষেপন করা হয় ২০১৬ সালে এবং GSAT-19 উৎক্ষেপন করা হয় এই বছর ৫ই জুন ২০১৭।GSAT-20 উৎক্ষেপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ২০১৮ সালে। এর জন্য GSLV Mk-III D2 রকেট ব্যবহার করা হবে।  এবার দেখে নেওয়া যাক GSAT-এর ইতিহাস।
                                                                     সূত্র- ইন্টারনেট

লিখেছেন- রাজকুমার গুড়িয়া
         Email- rkguria.007@gmail.com

Copyright- Bhugol dot in & Geo-Observing Centre
Read More
ভূগোল প্রেমী

চাঁদের মাটিতে মানুষ- মিশন "অ্যাপেলো-১১" (The First Person on the Moon)

 বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭     No comments   
চাঁদে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ও সঙ্গে নীল আর্মস্ট্রং
চাঁদে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ও সঙ্গে নীল আর্মস্ট্রং
সালটা ছিল ১৯৬১। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ছিলেন জন এফ কেনেডি। তিনি চেয়েছিলে মানুষকে চাঁদে পাঠাতে। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ি নাসা চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করতে লাগল। এবং অবশেষে ১৯৬৯ সালে সেই দিন এল যেদিন “অ্যাপেলো-১১” মিশন বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
অ্যাপেলো-১১”
“অ্যাপেলো-১১” যাত্রা শুরু করল ১৬ ই জুলাই ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন "বজ" আলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স নামক তিনজন মহাকাশ যাত্রীকে নিয়ে।
নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন "বজ" আলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স
একি সাথে নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন "বজ" আলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স

ঠিক এর চারদিন পর, ২০ই জুলাই ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন "বজ" আডলডিন দুজনে চাঁদের মাটিতে নেমেছিলে। এরা চাঁদের কক্ষ পথ থেকে চাঁদের মাটিতে নামার জন্য Lunar Module এর ব্যবহার করেছিলেন। যাকে ‘ঈগল’ নামে চিনি আমরা। কিন্তু মাইকেল কলিন্স চাঁদের কক্ষ পথেই থেকে গিয়েছিলেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিত্র সংগ্রহের জন্য।

ঠিক আজকের দিনেই ২০ জুলাই ১৯৬৯ সালে প্রথম মানুষ হিসাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং এবং এর ঠিক ২০ মিনিট পর আলড্রিন চাঁদের মাটিতে পা দিয়েছিলেন। এরা দুজনে প্রায় তিন ঘন্টা চাঁদের মাটিতে ঘুরেবেড়িয়েছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, অসংখ্য শিলা সংগ্রহ করেছেন।

তাঁরা তাঁদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা স্থাপন করেছেন চাঁদের। এমনকি তাঁদের সাক্ষর করা একটি ফলক ও চাঁদের স্মৃতি হিসাবে রেখে এসেছেন।
"Here men from the planet Earth first set foot upon the moon July 1969, A.D. We came in peace for all mankind."
এই সেই ফলক যেখানে লেখা রয়েছে- "Here men from the planet Earth first set foot upon the moon July 1969, A.D. We came in peace for all mankind." Image Credit: NASA

এরপর ২৪শে জুলাই ১৯৬৯ সালে তিন জন মহাকাশচারী সুস্থ অবস্থায় পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন।

➽এবার দেখে নেওয়া যাক, চাঁদে প্রথম মানুষ যাওয়ার মিশনের কিছু অজানা চিত্র- দেখুন


অ্যপেলো-১১ মিশনে যাওয়ার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি
অ্যপেলো-১১ মিশনে যাওয়ার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি


চাঁদে পৌঁছানোর যাত্রাপথ


চাঁদের পৃষ্ঠে লুনার মোডিউল ঈগল এবং ওই দূরে দেখা যায় আমাদের পৃথিবীকে


"অ্যাপেলো-১১" মিশন সাফল্যের সাথে শেষ করে পৃথিবীতে ফিরে আসার মুহুর্ত।


দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস- পত্রিকাতে  প্রকাশিত  খবর


মূদ্রার মাধ্যমে স্মৃতি সংরক্ষন


কলম্বিয়ার মিউজিয়ামে আজ-ও সংরক্ষিত রয়েছে।

➥ Edited by- Rajkumar Guria

➽ All Copy Right reserved- Bhugol.in (Google Copy Right act)

বিঃ দ্রঃ- লেখাটি কপি করলে সম্পুর্ণ নাম ও তথ্যসূত্র সহ কপি করবেন

সত্যি কি মানুষ চাঁদে গিয়েছে?- একটি বিতর্কিত পোষ্ট!

চাঁদে প্রথম মানুষ যাওয়া নিয়ে বিতর্কের যুক্তিযুক্ত কিছু উত্তর
Read More
ভূগোল প্রেমী

সত্যি কি মানুষ চাঁদে গিয়েছে?- একটি বিতর্কিত পোষ্ট!

 বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭     No comments   
১৯৬৯ সাল ১৬ই জুলাই নীল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিন এবং মাইক কলিন্স চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। Apollo 11 ছিল তাদের বাহন । যাই হোক নাটক শেষে তারা কিছু পাথর নিয়ে হাজির হয় । ইত্যাদি... ইত্যাদি.........(পড়েনিন ১৯৬৯ সালে নাসার প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশনের ঘটনাটি)

কিন্তু ব্যপার হল, এই যে চাঁদে মানুষের পদার্পন, এটিকে অনেকে বিশ্বাস করতে চান না, বা অনেকে অনেক যুক্তি দেখিয়েছেন এর বিপক্ষে। সেই সমালোচনা গুলি আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

তার আগে আপনারা এই ভিডিওটি দেখুন। এটি সেই ১৯৬৯ সালের ভিডিও। দেখুন CLICK HERE

এই ছবিটি দেখুন...

➽ আপনি কি আকাশে তারা দেখতে পাচ্ছেন ?? আমি তো পাচ্ছি না!!! তারা দেখা যাওয়ার কথা ছিল না ??

➽ চাঁদে তো বাতাস নেই । তো পতাকা উড়ছে কিভাবে ?? [ ভূত নেই তো!]

➽ মডিউলটি যেখানে অবতরণ করে, সেখানে কি গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল না! গর্ত তো দেখি না!

➽ মডিউলের পায়ে ধূলা জমার কথা ছিল, কিন্তু ভিডিও-তে তা দেখা যায় না ।

➽ OK, আপনি এবার আর্মস্ট্রং ভাইয়ের হেলমেটের গ্লাসের দিকে তাকান । কি, কিছু বুঝলেন ??

➽ একেক বস্তুর ছায়া কেন একেক রকম, আলোর উৎস তো কেবল সূর্য (নাকি অন্য কিছুও আছে !)

➽ অভিযানের টেলিমেট্রি ডাটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না(অবশ্য নাসা বলে এটা নাকি হারিয়ে গিয়েছে)...... এত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারিয়ে গেল !!

➽ লক্ষ করে দেখবেন, সব ছবিরই Background এক  ( কারন, পুরা মুভি একই শুটিং স্পটে করা )।

➽ আমার মতে চাঁদের পাথর, পৃথিবীর পাথরের মত হওয়ার কথা না । কিন্তু তাদের আনা পাথরকে দেখলে বলবেন, এই পাথর দিয়ে আপনে ছোটবেলায় খেলেছেন !

➽ ভিডিও-তে দেখতে পাওয়া যায়, দুটি বস্তু পরস্পর ছেদ করে, কিন্তু আলোর তত্ত্ব অনুযায়ী কি এটা সমান্তরাল হওয়ার কথা না ?

➽ উনারা ভ্যান হেল বেল্ট এর মারাত্মক রশ্নি থেকে বেঁচে গেলেন, কিভাবে!

আমার আরও কিছু যুক্তি আছে, যা সাধারণ চোখে ধরা পড়বে না । যেমনঃ

➽ এখন তো প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে, তো আর চাঁদে যাওয়া হচ্ছে না কেন ??

➽ চাঁদে গেল ভাল কথা, তারা ফিরে এল কিভাবে ??

➽ চাঁদে Apollo গেল যে শক্তি বলে, সেই বল তো ফিরার সময়ও থাকা উচিত ! তাহলে এটা কি অসম্ভব না ?

1974 সালে বিল কেসিং নামের একজন আমেরিকান তার " We Never Went to the Moon" বইয়ে এসব যুক্তি উপস্থাপন করেন ।

আমি আপনাদের এবার ছবি দিয়ে বোঝাব । প্রতিটা ছবি খুব সূক্ষ্মভাবে দেখবেন...

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাজ অলড্রিন আর নীল আর্মস্ট্রংকে । আর্মস্ট্রং পতাকা গাঁথছেন আর অলড্রিন দাঁড়িয়ে আছেন।

A লক্ষ করুন,

সূর্যই যদি একমাত্র আলোর উৎস হয়, তবে আর্মস্ট্রং-এর থেকে অলড্রিন-এর ছায়া কি বড় হওয়া সম্ভব??

 এবার এই ছবি দেখেন।

B-তে Aldrin এর SpaceSuit-এ একটা ছায়া দেখা যাচ্ছে । সূর্য একমাত্র উৎস হলে তো ছায়া আরও Dark হত, তাইনা??

C-তে দেখুন যত দূরত্ব বাড়ছে, মাটি তত Fade হয়ে যাচ্ছে । যেখানে বায়ু নাই, সেখানে এটা অসম্ভব ।

D-তে দেখেন, হেলমেটের মধ্যে লাল চিহ্নিত গোল --ওটা কি ??? নাসাও বলতে পারেনি, এড়িয়ে গেছে ।
পরের ছবিতে আসা যাক ।

E-তে কোন ছায়া দেখছেন ??

নাসা বলেছে, Spaceship ফ্লাই করার সময় ওটা Shadow . কিন্তু পৃথিবীতে বিমান বা অন্য কিছু ওড়ার সময়ও এত Dark ছায়া পড়ে না।
এখন এই ছবি দেখুন...

K-টা পুরোই অন্ধকার, কিন্তু আমেরিকার পতাকা দেখা যাচ্ছে কিভাবে !!

আর J-তে তো তারা বা নক্ষত্র দেখা যাচ্ছে না !!!
ক্যামেরা যদি বুকেই বাধা থাকে, তবে

L-কখনই ছবিতে আসবে না, ভেবে দেখুন ...

M-এর ছায়া আসমান্তরাল, একটু আগেই বলেছিলাম । কিন্তু এটা হতে পারে না ।

N-এ খেয়াল করুন, আমি যদি বলি আলোটা Spacesuit থেকেই আসছে !
দেখুন, Q-চিহ্নিত স্থান আর গোল দাগ করা স্থানের মাটির কত পার্থক্য !!

R -এ একটা C অক্ষর দেখা যায় । এটা ওদের শুটিং-এর সুবিধার্থে করা ।

S-দেখুন, যেখানে জল নাই, সেখানে এত সুন্দর করে সিনেমা সাজিয়েছে; বোঝায় যায় এটা জলের মিশ্রণ ছাড়া অসম্ভব ।

তাহলে ঐ চিহ্ন আসল কোত্থেকে ?????

এবার এই সিনেমার Behind The Scene টা আমরা একনজর দেখে নিই । ক্লিক করুন ।


➽ বিঃ দ্রঃ- এই পোষ্টের সকল যুক্তি ও তথ্য গুলির সূত্র "টেকটিউনস" থেকে সংগৃহিত এবং ভিডিও সূত্র "YOU TUBE"

এগুলো সবই যুক্তিযুক্ত সমালোচনা। যেগুলো বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন এবং যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমাদের মনে হতেই পারে যে 'নাসা' এমন ছলনা করবে কেন?

তাই এই সব সমালোচনার 'সমালোচনা' প্রকাশ হতে খুব দেরি হয়নি। এই সমালোচনা গুলির বিপক্ষে অনেক বিজ্ঞানী তাঁদের যুক্তি দেখিয়েছেন। এবং বলেছেন 'অ্যাপেলো-১১' মিশন বস্তবে ঘটেছে। এই বিষয়ে জানার জন্য পরবর্তী পোষ্ট দেখুন বা এখানে ক্লিক করুন।




Read More
পুরাতন পোস্টসমূহ → হোম

Blog Archive

  • নভেম্বর 2017 (8)
  • অক্টোবর 2017 (3)
  • এপ্রিল 2017 (1)

Popular Posts

  • Earth Day বা বিশ্ব ধরিত্রী দিবস
    আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। প্রতি বছর ২২শে এপ্রিল আমরা ধরিত্রী দিবস হিসাবে পালন করে থাকি। কিন্তু কি এই ধরিত্রী দিবস? Earth Day বা বিশ্ব ...
  • সোনালী চতুর্ভূজ
    স্বপ্নের সোনালী চতুর্ভুজের অন্তরালে
  • সত্যি কি মানুষ চাঁদে গিয়েছে?- একটি বিতর্কিত পোষ্ট!
    ১৯৬৯ সাল ১৬ই জুলাই নীল  আর্মস্ট্রং ,  বাজ অলড্রিন এবং মাইক কলিন্স চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।  Apollo 11  ছিল তাদের বাহন । যাই হোক নাটক শে...

Labels

  • সোনালী চতুর্ভূজ
  • Blog

Facebook Fan

  • হোম

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Powered by: Blogger
About Us | Contact Us | Privacy | Sitemap | Terms Condition | Others
Copyright © ভূগোল ডট ইন :: Bhugol.in All Rights Reserved |