Select Menu
  • Home
  • Blog Design
  • Widgets
    • HTML Editor
    • HTML Parser
    • Counter Tool
    • Css Minifier
    • Live Viewer
    • Color Code
  • SEO
  • Online Earning
  • Technology
  • About Us
  • Contact Us
  • Download
  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy
  • Sitemap
  • Download

ভূগোল ডট ইন :: Bhugol.in

  • Home
  • Blog Design
  • Widgets
  • SEO
  • Android
    • Adroid Tips
    • Android Apps
    • Android News
  • Earning
  • Error404
Uncategories ২২ শে এপ্রিল উল্কা বৃষ্টি হতে চলেছে?

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

ভূগোল প্রেমী

২২ শে এপ্রিল উল্কা বৃষ্টি হতে চলেছে?

 বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭     No comments   
সম্ভবত ২১ ও ২২ শে এপ্রিলের মধ্যে আমরা একটি উল্কা বৃষ্টির সাক্ষী হতে চলেছি। কিন্তু এটিকে আমরা দেখতে পাব কিনা সন্দেহ আছে এই বিষয়ে। এর কারণ গুলি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

উল্কা পাতের একটি দৃশ্য

অনেকে অবগত রয়েছেন যে, মাঝে মধ্যে হঠাৎ দেখা গেল রাতের আকাশে একটা ছোট আলোর বিন্দু টুপ করে নিচের দিকে পড়ে গেল। মনে হলো, যেন আকাশভরা মিটমিটে তারাগুলো থেকে একটা বুঝি টুপ করে পড়ে গেল। কিন্তু আসল ঘটনা হচ্ছে, এই ‘খসে পড়া তারা’গুলি আদতে তারাই নয়। এদের নাম উল্কা।

এখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে- এই উল্কা জিনিসটা আসলে কী? উল্কাবৃষ্টিই বা কেন হয়? আর কেনই বা উল্কাদের খসে পড়া তারাদের মতো দেখায়?

প্রথমে আসা যাক উল্কা কী, সে প্রসঙ্গে 

যে সব বস্তু মহাকাশে ঘুরে বেড়ায়, তাদেরকে বলে মহাজাগতিক বস্তু। এ রকম কোনো মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর খুব কাছে এসে পড়লে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের প্রভাবে বস্তুটি ভূ-পৃষ্ঠের দিকে তীব্র বেগে এগোতে থাকে। তখন এর সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের কণাগুলোর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ-ঘর্ষণের ফলে বস্তুটি জ্বলে ওঠে। তখন যে ক্ষণস্থায়ী সরু আলোর রেখা দেখা যায়, সেটাই উল্কা। 

বেশিরভাগ সময় উল্কার আকার এতো ছোট হয় যে, এটি ভূ-পৃষ্ঠে আসতে আসতেই জ্বলে ছাই হয়ে যায়। তবে যদি বস্তুটি মোটামুটি বড় আকারের হয়, তখন সেটি পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে যায় না। বস্তুটির অবশিষ্টাংশ ভূ-পৃষ্ঠে ভীষণ জোরে আছড়ে পড়ে। এই অবশিষ্টাংশকে বলে উল্কাপিণ্ড।
একটি বৃহৎ উল্কা পিন্ড পৃথিবীতে এসে আঘাত করলে কি হতে পারে দেখুন !

কিন্তু ঠিক কোন্ মহাজাগতিক বস্তু আসে এভাবে? পৃথিবীর চারপাশে শুক্র বা মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত তেমন কিছুই নেই। অথচ শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ যন্ত্রে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৫টি উল্কাপাত দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই মহাজাগতিক বস্তুগুলো আসে কোত্থেকে?

সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট সদস্য গ্রহাণু। এই গ্রহাণুগুলো পৃথিবী থেকে বেশ দূরে অবস্থান করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। এগুলো ছাড়াও মহাশূন্যে অসংখ্য ছোট ছোট বালুকণা আর পাথরের টুকরোর মতো পদার্থ ইতস্তত ছড়িয়ে আছে। সিংহভাগ উল্কাই এসব কণার মাধ্যমে সৃষ্ঠ। এই কণাগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। খুব ছোট হওয়ায় এদের কেউ-ই পৃথিবীপৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। প্রতি ১০০ বছরে হয়ত কয়েকটি ছোটখাট টুকরো পৃথিবী পর্যন্ত এসে পৌঁছায়। আর বিশাল খাদ কিংবা ডাইনোসরদের বিলুপ্ত করে দেয়ার মতো ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টিকারী বিশাল উল্কা আসার সম্ভাবনা হিসাব করলে প্রতি ৩ লক্ষ বছরে একবার! এগুলো হলো গ্রহাণু বেল্টের কোনো বিক্ষিপ্ত সদস্যের কাজ, যারা ঘুরতে ঘুরতে মঙ্গল ও পরে পৃথিবীর আকর্ষণে পথ বদলাতে গিয়ে শেষমেশ পৃথিবীর মহাকর্ষ বল এড়াতে না পেরে এখানে আছড়ে পড়ে।

সাধারণত ভোরের দিকে সন্ধ্যার চেয়ে বেশি উল্কা দেখা যায়। কারণ, সে সময় উল্কাদের অবস্থান থাকে পৃথিবীর গতির দিকে। আর খালি চোখে আমরা যে সব উল্কা দেখি সেগুলো প্রায় ৮০-১০০ কিলোমিটার উপরে থাকে। আর এদের বেগ থাকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩০ কিলোমিটার।


এ তো গেল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়া উল্কাদের কথা। এখন আসা যাক উল্কাবৃষ্টির বিষয়ে। প্রতি বছরই কিছু নির্দিষ্ট দিনে আকাশে উল্কার পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। ঘণ্টায় ৩০-৪০টা উল্কাও দেখা যায়। একেই বলে উল্কাবৃষ্টি।

এই অসংখ্য উল্কা আকাশের একেকটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই আসে। এই জায়গাগুলিকে বলে বিকিরণ বিন্দু । এ থেকে মনে হতেই পারে, এগুলো নিশ্চয়ই একই জায়গা থেকে আসছে; আসলেও তাই। এর জন্য প্রায়ই দায়ী থাকে ধূমকেতু। ধূমকেতুর শেষে যে লেজ থাকে, সেটা মূলত বরফকণাপূর্ণ গ্যাসীয় পদার্থে তৈরি। ধূমকেতু যখন সূর্যের খুব কাছে চলে যায়, তখন এই লেজের কিছু অংশ খসে যায়। এই অবশিষ্টাংশ এদের কক্ষপথের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকে। চলার পথে পৃথিবীর কাছে চলে এলে কাছাকাছি অঞ্চলের টুকরোগুলো উল্কা হয়ে পৃথিবীর দিকে ঝাঁক বেঁধে ছুটে আসে। এভাবেই উল্কাবৃষ্টির সৃষ্টি হয়।

প্রায় ১৫,০০০ টন পরিমাণ উল্কা, ক্ষুদ্র উল্কাকণা এবং মহাজাগতিক ধূলিকনা প্রতি বছর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে।

ঠিক এরকমি একটি উল্কা বৃষ্টি হতে চলেছে ২১ বা ২২ এপ্রিল রাতে। তবে, এই উল্কা বৃষ্টি দেখার জন্য নির্ভর করতে হবে দেশ ও স্থানের ওপর !!

কিন্তু ভয়ের কোনো কারন নেই. কারন উল্কা গুলি পৃথিবীতে আসার আগেই ছাই হয়ে যাবে !! এই প্রসঙ্গে একটা তথ্য দিয়ে লেখা শেষ করলাম, ১৮৩৩ সালে যেই উল্কা বৃষ্টিটি হয়েছিল, সেটি আজও জগৎ বিখ্যাত হয়ে রয়েছে !!

আরো দেখুন

আপনাদের মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন।
Share This Post
Tweet Share Share Share Share Share

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blog Archive

  • নভেম্বর 2017 (8)
  • অক্টোবর 2017 (3)
  • এপ্রিল 2017 (1)

Popular Posts

  • ২২ শে এপ্রিল উল্কা বৃষ্টি হতে চলেছে?
    সম্ভবত ২১ ও ২২ শে এপ্রিলের মধ্যে আমরা একটি  উল্কা বৃষ্টির  সাক্ষী হতে চলেছি।  কিন্তু এটিকে আমরা দেখতে পাব কিনা সন্দেহ আছে এই বিষয়ে। এর কার...
  • সত্যি কি মানুষ চাঁদে গিয়েছে?- একটি বিতর্কিত পোষ্ট!
    ১৯৬৯ সাল ১৬ই জুলাই নীল  আর্মস্ট্রং ,  বাজ অলড্রিন এবং মাইক কলিন্স চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।  Apollo 11  ছিল তাদের বাহন । যাই হোক নাটক শে...
  • মালাবারের কয়াল
    মালাবারের  গর্বের "কয়াল" কয়াল  কি সেটি আমরা প্রায় সবাই জানি।। তার আগে লেগুন কি সেটি আগে জানি।। "লেগুন বা উপহ্রদ হল...

Labels

  • সোনালী চতুর্ভূজ
  • Blog

Facebook Fan

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Powered by: Blogger
About Us | Contact Us | Privacy | Sitemap | Terms Condition | Others
Copyright © ভূগোল ডট ইন :: Bhugol.in All Rights Reserved |