১৯৬৯ সাল ১৬ই জুলাই নীল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিন এবং মাইক কলিন্স চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। Apollo 11 ছিল তাদের বাহন । যাই হোক নাটক শেষে তারা কিছু পাথর নিয়ে হাজির হয় । ইত্যাদি... ইত্যাদি.........(পড়েনিন ১৯৬৯ সালে নাসার প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশনের ঘটনাটি)
কিন্তু ব্যপার হল, এই যে চাঁদে মানুষের পদার্পন, এটিকে অনেকে বিশ্বাস করতে চান না, বা অনেকে অনেক যুক্তি দেখিয়েছেন এর বিপক্ষে। সেই সমালোচনা গুলি আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
তার আগে আপনারা এই ভিডিওটি দেখুন। এটি সেই ১৯৬৯ সালের ভিডিও। দেখুন CLICK HERE
এই ছবিটি দেখুন...
➽ আপনি কি আকাশে তারা দেখতে পাচ্ছেন ?? আমি তো পাচ্ছি না!!! তারা দেখা যাওয়ার কথা ছিল না ??
➽ চাঁদে তো বাতাস নেই । তো পতাকা উড়ছে কিভাবে ?? [ ভূত নেই তো!]
➽ মডিউলটি যেখানে অবতরণ করে, সেখানে কি গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল না! গর্ত তো দেখি না!
➽ মডিউলের পায়ে ধূলা জমার কথা ছিল, কিন্তু ভিডিও-তে তা দেখা যায় না ।
➽ OK, আপনি এবার আর্মস্ট্রং ভাইয়ের হেলমেটের গ্লাসের দিকে তাকান । কি, কিছু বুঝলেন ??
➽ একেক বস্তুর ছায়া কেন একেক রকম, আলোর উৎস তো কেবল সূর্য (নাকি অন্য কিছুও আছে !)
➽ অভিযানের টেলিমেট্রি ডাটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না(অবশ্য নাসা বলে এটা নাকি হারিয়ে গিয়েছে)...... এত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হারিয়ে গেল !!
➽ লক্ষ করে দেখবেন, সব ছবিরই Background এক ( কারন, পুরা মুভি একই শুটিং স্পটে করা )।
➽ আমার মতে চাঁদের পাথর, পৃথিবীর পাথরের মত হওয়ার কথা না । কিন্তু তাদের আনা পাথরকে দেখলে বলবেন, এই পাথর দিয়ে আপনে ছোটবেলায় খেলেছেন !
➽ ভিডিও-তে দেখতে পাওয়া যায়, দুটি বস্তু পরস্পর ছেদ করে, কিন্তু আলোর তত্ত্ব অনুযায়ী কি এটা সমান্তরাল হওয়ার কথা না ?
➽ উনারা ভ্যান হেল বেল্ট এর মারাত্মক রশ্নি থেকে বেঁচে গেলেন, কিভাবে!
আমার আরও কিছু যুক্তি আছে, যা সাধারণ চোখে ধরা পড়বে না । যেমনঃ
➽ এখন তো প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে, তো আর চাঁদে যাওয়া হচ্ছে না কেন ??
➽ চাঁদে গেল ভাল কথা, তারা ফিরে এল কিভাবে ??
➽ চাঁদে Apollo গেল যে শক্তি বলে, সেই বল তো ফিরার সময়ও থাকা উচিত ! তাহলে এটা কি অসম্ভব না ?
1974 সালে বিল কেসিং নামের একজন আমেরিকান তার " We Never Went to the Moon" বইয়ে এসব যুক্তি উপস্থাপন করেন ।
আমি আপনাদের এবার ছবি দিয়ে বোঝাব । প্রতিটা ছবি খুব সূক্ষ্মভাবে দেখবেন...
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাজ অলড্রিন আর নীল আর্মস্ট্রংকে । আর্মস্ট্রং পতাকা গাঁথছেন আর অলড্রিন দাঁড়িয়ে আছেন।
A লক্ষ করুন,
সূর্যই যদি একমাত্র আলোর উৎস হয়, তবে আর্মস্ট্রং-এর থেকে অলড্রিন-এর ছায়া কি বড় হওয়া সম্ভব??
এবার এই ছবি দেখেন।
B-তে Aldrin এর SpaceSuit-এ একটা ছায়া দেখা যাচ্ছে । সূর্য একমাত্র উৎস হলে তো ছায়া আরও Dark হত, তাইনা??
C-তে দেখুন যত দূরত্ব বাড়ছে, মাটি তত Fade হয়ে যাচ্ছে । যেখানে বায়ু নাই, সেখানে এটা অসম্ভব ।
D-তে দেখেন, হেলমেটের মধ্যে লাল চিহ্নিত গোল --ওটা কি ??? নাসাও বলতে পারেনি, এড়িয়ে গেছে ।
পরের ছবিতে আসা যাক ।
E-তে কোন ছায়া দেখছেন ??
নাসা বলেছে, Spaceship ফ্লাই করার সময় ওটা Shadow . কিন্তু পৃথিবীতে বিমান বা অন্য কিছু ওড়ার সময়ও এত Dark ছায়া পড়ে না।
এখন এই ছবি দেখুন...
K-টা পুরোই অন্ধকার, কিন্তু আমেরিকার পতাকা দেখা যাচ্ছে কিভাবে !!
আর J-তে তো তারা বা নক্ষত্র দেখা যাচ্ছে না !!!
ক্যামেরা যদি বুকেই বাধা থাকে, তবে
L-কখনই ছবিতে আসবে না, ভেবে দেখুন ...
M-এর ছায়া আসমান্তরাল, একটু আগেই বলেছিলাম । কিন্তু এটা হতে পারে না ।
N-এ খেয়াল করুন, আমি যদি বলি আলোটা Spacesuit থেকেই আসছে !
দেখুন, Q-চিহ্নিত স্থান আর গোল দাগ করা স্থানের মাটির কত পার্থক্য !!
R -এ একটা C অক্ষর দেখা যায় । এটা ওদের শুটিং-এর সুবিধার্থে করা ।
S-দেখুন, যেখানে জল নাই, সেখানে এত সুন্দর করে সিনেমা সাজিয়েছে; বোঝায় যায় এটা জলের মিশ্রণ ছাড়া অসম্ভব ।
তাহলে ঐ চিহ্ন আসল কোত্থেকে ?????
➽ বিঃ দ্রঃ- এই পোষ্টের সকল যুক্তি ও তথ্য গুলির সূত্র "টেকটিউনস" থেকে সংগৃহিত এবং ভিডিও সূত্র "YOU TUBE"
এগুলো সবই যুক্তিযুক্ত সমালোচনা। যেগুলো বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন এবং যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমাদের মনে হতেই পারে যে 'নাসা' এমন ছলনা করবে কেন?
তাই এই সব সমালোচনার 'সমালোচনা' প্রকাশ হতে খুব দেরি হয়নি। এই সমালোচনা গুলির বিপক্ষে অনেক বিজ্ঞানী তাঁদের যুক্তি দেখিয়েছেন। এবং বলেছেন 'অ্যাপেলো-১১' মিশন বস্তবে ঘটেছে। এই বিষয়ে জানার জন্য পরবর্তী পোষ্ট দেখুন বা এখানে ক্লিক করুন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন