আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। প্রতি বছর ২২শে এপ্রিল আমরা ধরিত্রী দিবস হিসাবে পালন করে থাকি। কিন্তু কি এই ধরিত্রী দিবস?
Earth Day বা বিশ্ব ধরিত্রী দিবস |
আমরা সকলেই আবগত হয়েছি যে বর্তমান পরিবেশ বিশ্ব উষ্ণায়য়ের কবলে পরেছে। দিন দিন উষ্ণতা বৃধি পেয়ে চলেছে। ১৮০০ সালে CO2 বৃদ্ধির পরিমান ছিল ২৭০ পি. পি. এম. সেটি ২০১৬ সালে ৪০৪ পি. পি. এম. এ পরিবর্তিত হয়েছে। এবং এর বেশির ভাগ উৎপাদন করে চিন (২৮%), যুক্টরাষ্ট্র (১৬%)। এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যার ভূমিকা রয়েছে সেই গ্যাসটি হল কার্বন ডাই অক্সাইড (৪৯%)। তাই এই গ্যাস উৎপাদন হ্রাস করার জন্য প্যারিস সম্মেলনের মত প্রচুর সম্মেলন হয়েছে। যার ফলাফল এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কোনকিছু পাওয়া যায়নি।
কিন্তু আমরা আমাদের পরিবেশকে বাঁচানোর চেষ্টা থেকে থেমে থাকি নি, বিভিন্ন ভাবে আমাদের পরিবেশ তথা ধরিত্রীকে বাঁচানোর একটি চেষ্টা করে যাচ্ছি। যার মধ্যে অন্যতম হল এই “ধরিত্রী দিবস”।
ধরিত্রী দিবসের ইতিহাস
১৯৭০ সালের ২২শে এপ্রিলে “গেলরড নেলসন” নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনেটরের শুরু করা এক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এ দিবস পালিত হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারাতে 1969 সালের তেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার ঘটনার পর ইনি একটি পরিবেশগত আন্দলনের ডাক দেন। ১৯৭০ সালে এই পরিবেশ আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘এনভায়রনমেন্টাল টিচ-ইন’। ওই বছর আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো সিটিতে প্রথম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ তাদের বার্ষিক পঞ্জিকায় দিবসটিকে স্থান দেয় এবং সদস্য দেশগুলোকে তা পালনের আহ্বান জানায়। ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিকভাবে ১৪১টি জাতির মাধ্যমে আয়োজন করা হয়েছিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস।
ধরিত্রী দিবসের থিম-
১. ২০১৭ সালের থিম হল - Environmental & Climate Literacy
২. ২০১৬ সালের থিম ছিল- “Trees for the managing the Earth Resources”
৩. ২০১৫ সালে থিম ছিল- “Green Earth, Clean Earth with Wonderful World of Water”
৪. ২০১৪ সালের থিম ছিল- “Cities of Greenery”.
কেন আমরা এই দিনটি পালন করব?
এই দিন্টি পালন কেন করব সেটা বোঝানোর জন্য কয়েকটি বিষয়ে আগে আলোচনা করা যাক, যেগুলি আমাদের তথা আমাদের সুন্দর পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
১. ১৮৮১ সালের পর তাপমাত্রা গড়ে ১.৫ ডিগ্রী বৃদ্ধি পেয়েছে।
২. ১৯৮১ সালে পর আন্টার্ক্টিকার হিমবাহ প্রতি দশকে ১৩.৪% হারে হ্রাস হয়েছে।
৩. গত ১০০ বছরে সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়েছে গড়ে ১৫ সেমি।
৪. গত ৫০ বছরে বিশ্বের ২৭% প্রবাল প্রাচীর ধংস হয়েছে।
৫. ২১০০ সালে সমুদ্রতল ১-৪ ফুট বৃদ্ধি পাবে (IPCC)।
৬. ২১০০ সালে পানীয় জলের ঘাটতি হবে প্রধান সমস্যা।
আরো আছে সেগুলি না হয় পরে আলোচনা করা হবে। তাহলে ওপরের সমস্যা গুলি দেখে আমরা একটা জিনিস ভাবতে পারি, যে কোনো মূল্যে আমাদের এই ধরিত্রীকে বাঁচাতে হবেই। তার একটি জনসচেতনতামুলক প্রচেষ্টা হল “ধরিত্রী দিবস”।
ধরিত্রীকে বাঁচানোর জন্য আমরা কোন কোন বিষয়ের ওপর নজর দেব?
১. প্রথমত ব্যাক্তিগত উদ্দেগ্যে সকল মানুষকে সচেতন করা।
২. বৃক্ষ রোপন করে কার্বন সিঙ্ক পরিবেশ বানানো।
৩. কাছাকাছি পথ অতিক্রম করতে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করুন।
৪. দূরবর্তী স্থানে যাবার জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে পাবলিক যান বাহন ব্যবহার করুন।
৫. জীববৈচিত্র সংরক্ষনের দিকে নজর দিতে হবে।
৬. জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ি ব্যবহার করুন।
৭. পুনর্ব্যবহারযোগ্য দ্রব্য ব্যবহার করুন।
একনজরে ধরিত্রী দিবস
১. প্রথম পালন করা হয় ১৯৭০ সালে।
২. ১৯৯০ সালে বিশ্বের কাছে পরিচিতি পায়।
৩. প্রথম ধরিত্রী দিবসে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ অংশগ্রহন করেছিল।
৪. “গেলরড নেলসন” নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন ব্যক্তি এটি প্রথম শুরু করেন।
৫. ২০০৯ সালে UN এর পুনঃনামকরন করেন "INTERNATIONAL MOTHER EARTH DAY".
ধন্যবাদ, সময়ের অভাবে আজ এই টুকুই লিখলাম, সামর্থ অনুযায়ী। কমেন্ট করে আমাদের ফিডব্যক জানান। এবং আমাদের ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন।
Play casino - No.1 for the Casino Guru
উত্তরমুছুনNo longer have the opportunity https://sol.edu.kg/ to https://octcasino.com/ go to the casinos ventureberg.com/ or read the reviews of 1xbet 먹튀 the slots you love. But they're not always the same. Sometimes you have a new online microtouch solo titanium